আমলকি ফল একটি উষ্ণতাপীয় ফল যা সম্পূর্ণ খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি হালকা প্রাকৃতিক লেবু রঙের এবং একটি খাটি স্বাদ থাকে। আমলোক খুব সমৃদ্ধ ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট উপকরণ বিশিষ্ট ফল হিসেবে পরিচিত। এর ফলে ত্বক, চুল, চোখ এবং শরীরের অন্যান্য অংশগুলি সুস্থ ও সুন্দর হয়। আমলকি একটি ফলের নাম যা ধর্মীয় ও চিকিৎসাগত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান এবং স্রীলঙ্কার প্রায় সকল অঞ্চলে বৃষ্টি বা তাপমাত্রার সাথে উন্নয়ন করা হয়।
আমলকির পুষ্টিগত উপাদানঃ
- আয়রন
- ক্যালসিয়াম
- ফসফরাস
- প্রোটিন
- ফাইবার
- কার্বোহাইড্রেট
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি
এছাড়াও আমলকির কিছু অন্যান্য উপাদানসমূহ নিম্নলিখিতঃ
- থাইমিন (ভিটামিন বি-১)
- পান্থেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি-৫)
- নিয়াসিন (ভিটামিন বি-৩)
- পিরিডক্সিন (ভিটামিন বি-৬)
- ফোলেট (ভিটামিন বি-৯)
- বিটাকারোটিন
- জিংক
- ক্যাডমিযম
- ম্যাংগানিজ
সম্পৃক্ত অম্লের উপাদান যেমন মালিক এসিড, গ্লুকোস, ফ্রুক্টোজ, লেবুন এসিড, সিট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি। মানব স্বাস্থ্যের উদ্দেশ্যে আমলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে ভিটামিন সি এবং আয়রন বলা হয়।
ভিটামিন
সিঃ আমলায় বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, এটি পুষ্টিগত উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। ভিটামিন সি হল একটি
প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ যা আমলকি অধিক
পরিমাণে থাকা কারণে আমলকি বিভিন্ন জ্বর, কফ এবং ঠান্ডা
বিরোধী দমন এর জন্য উপযোগী
করে। এছাড়াও এটি শরীরের কোলাজেন উৎপাদন এবং ত্বকের সুষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আয়রনঃ আমলকিতে অনেক পরিমাণে আয়রন থাকে, যা লোহার অভাব হওয়ার ঝুঁকিতে আক্রান্ত লোকদের জন্য বেশি উপকারী। আয়রন হল শরীরের রক্ত স্বচ্ছ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অধিক অবস্থান পাওয়া যায়, যা হেমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে সহায়তা করে। আমলকি আয়রন পুষ্টিকর খাবারের সাথে যুক্ত হয় যা শরীরের পুষ্টি বাড়ানোতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শরীরে পরিবর্তনশীল হয়ে ওঠা রক্ত পরিবর্তনে সহায়তা করে।
ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়াম হল শরীরের মূল অংশগুলির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। শরীর ক্যালসিয়াম ব্যবহার করে হাড় এবং দাঁতের গঠন এবং মজুদ থাকে নার্ভ সিস্টেমের জন্য উপযোগী হয়। আমলা খাওয়া একটি উত্তম উৎস হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
ক্যালসিয়াম
হল হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যকর
রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে। এটি হাড় এবং দাঁতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে কাজ করে এবং একইভাবে দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করে।
ফসফরাসঃ আমলকি ফসফরাস পাওয়া যায় যা হলো হায়ার্ড্রেটেড ফসফেট হিসেবে জানা হয়। ফসফরাস শরীরে হায়ার্ড্রোক্সি অ্যাপাটাইট হিসেবে মূলত খাদ্যপদার্থ ও মাংসপেশীসমূহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
প্রোটিনঃ আমলকি প্রোটিন পাওয়া যায় যা শরীরের গঠনতন্ত্র বিকাশ ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণে উপকারী।
ফাইবারঃ আমলকি ফাইবার থাকায় খাবার পাচন পদ্ধতি ঠিকমত হয় এবং ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
কার্বোহাইড্রেট ও ওমেগা-৩ঃ আমলকি কার্বোহাইড্রেট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি থাকায় এটি শরীরের শক্তির জন্য উপকারী হতে পারে এবং হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়াও আমলকির কিছু অন্যান্য উপাদানসমূহঃ
আমলকি পাওয়া যায় একটি সম্পূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফল। আমলোকে থাইমিন (ভিটামিন বি-১), পান্থেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি-৫), নিয়াসিন (ভিটামিন বি-৩), পিরিডক্সিন (ভিটামিন বি-৬), ফোলেট (ভিটামিন বি-৯), এবং বিটাকারোটিন থাকে। এছাড়াও, এটি জিংক এবং ম্যাংগানিজ জাতীয় খনিজ এবং ক্যাডমিয়াম মাত্রাতির কম পরিমাণে থাকে।
সংরক্ষণঃ
আমলক একটি সংরক্ষণযোগ্য ফল। তবে এর কচি রূপ সম্পূর্ণ পরিষ্কার না থাকলে তা পাকা হওয়ার পর কিছুক্ষনের মধ্যেই ধ্বংস হতে পারে। তাই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত আমলক রাখতে হলে নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবেঃ
১. প্রথমে আমলক ধুয়ে নিবেন। তারপর টিস্যু পেপার দিয়ে সুখাতে দিন।
৪. আমলক ফ্রিজে রাখলে তা অধিকতর কুকুর কর্ণের প্রকার দিয়ে রাখুন যাতে এর সম্পূর্ণ রুচি থাকে।
৫. আমলক রাখার সময় তাপমাত্রা স্থায়ী রাখতে হবে।